Ads

শিশু বয়সেই মাত্র ১৮ বছরের মধ্য দুনিয়ার সবথেকে ধনী ইউটিউবার! | Do you know about top 10 richest kid youtubers?

 


বর্তমানে সময়ে ইউটিউব ছোট বাচ্চাদের যেন লাইফটাই চেঞ্জ করে দিয়েছে। কেননা দুনিয়ার বড় বড় বিজনেসম্যান এত অল্প সময়ে এত টাকা ইনকাম করতে পারেনি যতটাকা এই সকল বাচ্চা ইউটিউবাররা সাত থেকে আট বছর বয়সের ভেতরেই প্রতি মাসে ইনকাম করছে। কি অবাক হয়ে গেলেন? যাই হোক আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদের বাচ্চাদের মধ্য সেরা ১০ জন ধনী ইউটিউবারদের সম্পর্কে জানাবো যারা মাত্র ১০ বছর বয়সের ভিতরেই কোটিপতি না আরোবপতি হয়ে গেছে।


১। রায়ান কাজি 

রাইয়ান কাজী হলো আট বছর বয়সের এমন এক বাচ্চা, যিনি ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে এতো টাকা ইনকাম করে যা শুনলে যে কেউ বেহুঁশ হয়ে যাবে। রায়ান তার ইউটিউব ভিডিওর জার্নি ২০১৫ সাল থেকে শুরু করেছিল। সে মূলত প্রথমদিকে তার ইউটিউব চ্যানেলে বাচ্চাদের খেলনা গুলোর আনবক্সিং ভিডিও তৈরি করতো। তার কয়েক বছর পর এই বাচ্চাটি এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করে যে, এখন এর শো সবচেয়ে বেশি দেখেনেওয়ালা বাচ্চাদের টিভি চ্যানেল নিকাল অডিয়ানে দেখানো হয়। রায়ানের সম্পূর্ণ ইনকামের কথা যদি বলি তাহলে সে প্রায় প্রতি সেকেন্ডে এক ডলার করে ইনকাম করে। এই আট বছরের বাচ্চার প্রায় ৩৪ মিলিয়নের অধিক সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। আর অনেক বড় বড় কোম্পানি এই বাচ্চাটির সাথে কাজ করে যাচ্ছে। কোলগেট, নিকাল ওডিয়ান এবং ওয়ালমার্টের এর মত বিগেস্ট কোম্পানিগুলো সব সময় চেষ্টা করে রায়ানের এই ট্যালেন্ট যেন নষ্ট না হয়ে যায়। রায়ানের কাছে বর্তমানে যত ব্যাংক ব্যালেন্স আছে সে যদি এখন সকল কাজ বাদ দিয়ে বসে বসে খায় তবুও তার সম্পূর্ণ জীবন আরামসে কেটে যাবে তবুও তার ধনদৌলত শেষ হবে না। (সংগৃহীত তথ্য এর ভিত্তিতে এটা ৩-৪ বছির আগের ইনকাম এখন আরো বেশি হতে পারে আবার কমও হতে পারে) 





বন্ধুরা সিস ভার্সেস ব্রো আরো একটা এমন ইউটিউব চ্যানেল যা দুই ভাই বোন মিলে ভিডিও বানায়। বোনের নাম কারিনা যার বয়স ১৩ বছর এবং ভাইয়ের নাম রোনাল কর্জয়া। কেউ কখনো কল্পনাও করেনি যে ভাই বোনের ভেতরে হওয়া কাহিনী গুলো মানুষের এত পছন্দের হবে। সিস ভার্সেস ব্রো এই ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও তাদের আরো দুইটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। এদের প্রতিবছর নেট ইনকাম হয় ৫৭ কোটি থেকে শুরু করে এক আরব ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত। এরা আজ পর্যন্ত তিন আরব ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে ফেলেছে। (সংগৃহীত তথ্য এর ভিত্তিতে এটা ৩-৪ বছির আগের ইনকাম এখন আরো বেশি হতে পারে আবার কমও হতে পারে) 





ছয় বছর বয়সী নাস্তিয়ার এরমধ্যই তার ইউটিউবে ১০৫ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার পেয়ে গেছে। এই ছোট কিউট বাচ্চাটি ৬ বছর বয়সেই অনেক বড় বড় কোম্পানির সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সাত বছর হবার পূর্বেই নাস্তিয়া তার নিজস্ব খেলনা তৈরি করে ফেলেছে এমনকি তার নিজস্ব একটা বইও রিলিজ করে ফেলেছে। ইউটিউবে অধিক সাবস্ক্রাইব করা চ্যানেলের ভিতরে নাস্তিয়ার চ্যানেল ১০ নম্বরে রয়েছে। আর বাচ্চাদের ক্যাটাগরিতে তার চ্যানেল এক নম্বরে রয়েছে। এই ছোট কিউট বাচ্চাটি প্রতিবছর ১৫ আরব থেকে শুরু করে ৪০ আরব টাকা ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে। (সংগৃহীত তথ্য এর ভিত্তিতে এটা ৩-৪ বছির আগের ইনকাম এখন আরো বেশি হতে পারে আবার কমও হতে পারে) 





ভ্লাড এবং নিকি দুইজন এমন ভাই যারা প্রতি বছর ২৪ আরব টাকা থেকে শুরু ৬০ আরব টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে। ইদানিং তারা অনেক বড় একটি কোম্পানির সাথে ডিল সাইন করে। যেটার প্রাইজ এত বেশি যে এটা তারা নিজেরা গোপন রেখেছে। (সংগৃহীত তথ্য এর ভিত্তিতে এটা ৩-৪ বছির আগের ইনকাম এখন আরো বেশি হতে পারে আবার কমও হতে পারে)




১৭ বছর বয়সী জোজো সিওয়া তার অল্প বয়সেই এত বড় এম্পায়ার তৈরি করে ফেলেছে যে, সেটা অনেক লোক সম্পূর্ণ জীবনেও কল্পনায় আনতে পারে না। সিউয়া একজন সিঙ্গার যার গান মানুষের অনেক পছন্দ হয়ে থাকে পাশাপশি সে ফ্যাশন ডিজাইনার বা কাপড়ের বিজনেসম্যান বলা যেতে পারে। পাশাপাশি অনেকগুলো টিভি ইন্ডাস্ট্রিতেও সে কাজ করে। এবং পাশাপাশি সে একজন ভালো ড্যান্সারও বটে। এতকিছু হবার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে এই ইউটিউব। ইউটিউবের মাধ্যমেই তার সকল কারবার পরিচালিত হয়। সে একেক দিন সে ইউটিউব থেকে ১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে। আজ পর্যন্ত সিউয়া যা যা করেছে তার ইনকাম এর পরিমাণ মোটে হিসাব করলে দেখা যায় ৮ আরব ২৫ কোটি টাকা ইনকাম করেছে। (সংগৃহীত তথ্য এর ভিত্তিতে এটা ৩-৪ বছির আগের ইনকাম এখন আরো বেশি হতে পারে আবার কমও হতে পারে)





টিয়ানা উইলসন ১২ বছর বয়সী একজন বাচ্চা। যিনি ইংল্যান্ডে বসবাস করে। সে একটি ইউটিউব চ্যানেল নয় বরং দুইটি ইউটিউব চ্যানেল একসাথে অসাধারণ ভাবে পরিচালিত করছে। টিয়ানা তার অল্প বছর বয়সেই পাঁচ বছর পূর্বে ইউটিউবে ভিডিও বানানোর শুরু করেছিল। একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে টিয়ানা ১৪ কোটি টাকা ইনকাম করে অপরদিকে দ্বিতীয় চ্যানেল থেকে সে ১৬ কোটি টাকা ইনকাম করে। (সংগৃহীত তথ্য এর ভিত্তিতে এটা ৩-৪ বছির আগের ইনকাম এখন আরো বেশি হতে পারে আবার কমও হতে পারে)





১৮ বছর বয়সী একটি বাচ্চা যার নাম ফাজি জার্ভিস। যে অনেক বছর পূর্বে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিল। সে অনেক ভিউজ তখন পাচ্ছিলো যখন সে ফর্টনাইট গেম খেলে ইউটিউব চ্যানেলে তা ভিডিও করে ছাড়ছিল। ২০১৯ সালে ফর্টনাইটের চিটিং করার জন্য তাকে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর সে ইউটিউব চ্যানেলে ক্ষমা চাওয়ার জন্য একটা ভিডিও তৈরি করেছিল। ওই ভিডিওটাই তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। কেননা ঐ ভিডিওটা সবচেয়ে বেশি দেখনে ওয়ালা ভিডিও ছিল আর প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয়েছিল। যদিও ভিডিওটা নিয়ে অনেকে হাসি তামাশাও করেছে আবার অনেকে এর পজেটিভ দিকগুলো তুলে ধরেছে। ছয় বছর বয়স থেকে শুরু করা ইউটিউব চ্যানেলে এই ছেলেটি এখনো ২৮ কোটি টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে। আর এখন যে একজন প্রফেশনাল বক্সারও বলা যেতে পারে। (সংগৃহীত তথ্য এর ভিত্তিতে এটা ৩-৪ বছির আগের ইনকাম এখন আরো বেশি হতে পারে আবার কমও হতে পারে)





সেও খুব অল্প বছর বয়স থেকেই ইউটিউব চ্যানেলের যাত্রা শুরু করেছিল। ইউটিউব চ্যানেলে সে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতো এবং তার ওয়ালিদের সাথে ভিডিও বানিয়ে সকলকে ভিডিও দেখতে উৎসাহী করত। তার এই সকল রিভিউ ভিডিও বানিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২৭ কোটি টাকার মতো ইনকাম করে। যা সে শুধুমাত্র এটা ১৮ বছর পূর্ব থেকেই শুরু করে। (সংগৃহীত তথ্য এর ভিত্তিতে এটা ৩-৪ বছির আগের ইনকাম এখন আরো বেশি হতে পারে আবার কমও হতে পারে)




ধন্যবাদ সবাইকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে ব্লগ টি পরার জন্য ।


লেখকঃ মোঃ হাসিবুল হাসান 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ