আজকে এই ব্লগে আমি আপনাদের ই-বাইসাইকেল সম্পর্কে জানাবো।
Number Ten: C3Strom
এই ই-বাইক আজ পর্যন্ত দেখানো বেস্ট ডিজাইন ওয়ালা বাইসাইকেল কেননা এটা প্রথম নজরে একটা ক্লাসিক লুক এবং সামনে বড় একটি হেডলাইট প্রোভাইড করে। এই সাইকেলে ৭৮০০ ওয়াটের ব্যাটারি লাগানো রয়েছে। পঞ্চাশ মাইল ম্যাক্সিমাম রেঞ্জ প্রোভাইড। যদি আপনি এই সাইকেলটি চালান তাহলে আপনি প্রতি ঘন্টায় ৩২ মাইল স্পিডে চালাতে পারবেন। এই সাইকেলে লাগানো ব্যাটারি চার থেকে পাঁচ ঘন্টার ভিতরে সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়। এই সাইকেলে লাগানো পাওয়ারফুল মোটর আপনাকে এক্সট্রা স্পিড প্রোভাইড করে। এমনকি এই সাইকেলে একটা হাইড্রলিক ব্রেকও লাগানো রয়েছে।
Number Nine: Eins
Eins কোম্পানির তৈরি করা এই ই-বাইক BMX থেকে অনেক বেশি ইন্সপায়ার্ড হয়ে তৈরি করা হয়েছে। বাইসাইকেলের ফ্রন্টে আপনি একটি ডিসপ্লে দেখতে পাবেন। এই বাইসাইকেল পাওয়ারফুল হবার পাশাপাশি অনেক বেশি হালকা হয়। এটার ওজন শুধুমাত্র ১৯ কেজি। এ সাইকেলের ক্লাইম্বিং ক্যাপাসিটি অনেক বেশি হাই। এটা ৫০ কিলোমিটার পার আওয়ার গতির থেকেও বেশি স্পিডে চালাতে পারবেন। এই বাইসাইকেলের ভেতরে একটা ব্যাটারি লাগানো রয়েছে যেটা শুধুমাত্র তিন ঘন্টার ভিতরে ফুল চার্জ হয়ে যায়। এই সাইকেল অ্যাপস দিয়ে জিপিএস ট্র্যাকিং সহ অনেক ফিচার এই সাইকেলের সাথে আপনি পেয়ে যাবেন।
Number Eight: Cycle Mate 2.0
আমাদের ডে টু ডে রাইডিং কে কম্ফোর্টেবল করার জন্য বানানো হয়েছে সাইকেলমেট ২.০ সাইকেল সিট। যেটা এক ধরনের পারফেক্ট বাইক সিট কুশন। আপনি এই কুশন লাগিয়ে বাইসাইকেল চালালে অনেক কমফোর্টেবলল্লি সাইকেল চালাতে পারবেন। এমনকি আপনি লম্বা জার্নি এটার সাহায্যে কভার করতে পারবেন। এই সিম্পল গেজেটের মধ্যে আপনাকে শুধুমাত্র হাওয়া ভরতে হবে। সাথে সাথে এটা নরম আরামদায়ক কুষণ তৈরি হয়ে যাবে। এটা ক্যারি করাও অনেক লাইট এবং পোর্টেবল।
Number Seven: Andobil
এই গেজেটটি আপনি আপনার বাইসাইকেলে ব্যবহার করার পাশাপাশি যে কোন বাইকেও ব্যবহার করতে পারবেন। আর একবার যখন এটি আপনার বাইসাইকেলে এটাচ করে নিবেন তখন এটা ছোটমোটো ঝাঁকিতে খুলে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না বরং বড় কোনো ঝাকিতেও এটা খুলে যায় না। এটা আপনার সুবিধা অনুযায়ী রোটেট করতে পারবেন। শুধুমাত্র এক সেকেন্ড লাগে এটার ভেতর থেকে মোবাইল বের করতে। পাশাপাশি এটাতে এক ধরনের হোল দেওয়া রয়েছে যেটার ভেতর দিয়ে আপনি মোবাইল চার্জও দিতে পারবেন।
Number Six: Litelok
আপনার বাইক এবং ই-বাইক দুটোই সিকিউর রাখার জন্য এটা একটা পারফেক্ট তালা। জি হ্যাঁ এই লক সিম্পলি আপনার বাইসাইকেলে অ্যাটাচ করে দিন। যখন এটা আপনি ইউজ করবেন না তখন এটা আপনি বেল্টের মত আপনার কোমরেও বেধে রাখতে পারবেন। অনেকগুলো স্ট্রং টেস্ট এ এই লক কেউ ভাঙতে পারেনি। এটার ওজনও অনেকটাই লাইট ওয়েট শুধুমাত্র এক দশমিক ছয় কেজি। আর এটা অনেকটাই ফ্লেক্সিবল। এই লক আপনি তিন ধরনের কালারে পেয়ে যাবেন। অরেঞ্জ, নিওন এবং ব্ল্যাক। যদি এই গেজেট টি আপনি সাথে ক্যারি করেন তাহলে আপনার বাইসাইকেল চুরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
Number Five: Naicisports X1
এটা অনেক পাওয়ারফুল এবং পোর্টেবল, ফোল্ডেবল ই-বাইক। ফ্রন্ট সাইডে লাগানো রয়েছে একটা স্মার্ট এলইডি ডিসপ্লে। যেটা আপনাকে প্রোভাইড করে আপনি কত স্পিডে চালাচ্ছেন, আপনি কত মাইল পার করেছেন ইত্যাদি অনেক ধরনের ইনফরমেশন আপনি খুব সহজেই এখানে দেখতে পারবেন।ইউএসবি পোর্টের সাহায্যে আপনার স্মার্টফোন এটা সাহায্যে চার্জ করতে পারবেন। যদি হঠাৎ করে আপনার সাইকেলের সামনে কেউ চলেও আসে, সমস্যা নেই এটার ভেতরে দেওয়া রয়েছে হাই পারফরম্যান্স ব্রেক সিস্টেম। এটা ফোল্ড করে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে একটা ব্যাগও দেওয়া হবে।
Number Four: Honbike
এটা দুনিয়ার সর্বপ্রথম চেইনলেস ইলেকট্রিক বাইক, বাইসাইকেলে বারবার চেইন পড়ে গেলে সেটা লাগাতে অনেক অসহ্য লাগে। এর জন্য এই বাইসাইকেল থেকে চেইন ই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চেইন এর জায়গায় এখানে দেওয়া রয়েছে শার্প ড্রাই সিস্টেম। যেটা প্রায় তিন হাজারেরও বেশি টেস্ট দিয়ে ইমপ্রুভমেন্ট করানো হয়েছে। এর পাশাপাশি এটার ভেতরে ইলেকট্রিক পাওয়ার ইন্টিগ্রেড করে এটা কে হনবাইক বানানো হয়েছে। বুইল্ট ইন জাইস্কোপ এর জন্য এই গেজেট নিজে নিজেই ট্যারেন্টস কে আইডেন্টিফাই করতে পারে। এবং এটার স্পিড কম এবং বেশি করতে পারে। ডিজাইনের কথা যদি বলি তাহলে এটা বেসিক এবং মিনিমাল ডিজাইন করা হয়েছে। এই বাইসাইকেলটিও ফোল্ড করে রাখতে পারবেন আর এটা ফোল্ড করতে শুধুমাত্র ১৫ সেকেন্ডের মত সময় লাগে. এটার ভেতরে থাকা ব্যাটারিটা রিমুভবেবল তাই খুব সহজেই এটা আলাদা করে চার্জ দিতে পারবেন।
Number Three: Flectr Zero
এই আমেজিং টায়ার রিফ্লেক্টর যেটা আপনার বাইসাইকেল বা বাইকের টায়ারের সাথে অ্যাটাচ করার পর লাইট কে রিফলেক্ট করে। যদি আপনার রাতে বাইসাইকেল চালানো অনেক বেশি শখের হয়ে থাকে তাহলে এই গ্যাজেটটি আপনাকে অবশ্যই ট্রাই করে দেখা উচিত। এটা ইন্সটল করাও অনেক সিম্পল। আর এটা আপনার টায়ারে খুব বেশি স্পেসও নিবে না।
Number Two: Winglights
এই গেজেট আপনার বাইসাইকেলের হ্যান্ডেলে ম্যাগনেটিক পাওয়ারের সাহায্যে এটাচ হয়ে যায়। যেটা রাতে আপনাকে ইন্ডিকেটর দেওয়ার জন্য অনেক বেশি ইউজফুল হয়। এই লাইটগুলো অনেক শার্প এবং ব্রাইট দেখা যায়। যখন আপনি সাইকেল ইউজ করবেন না তখন এটা আপনার সাইকেলের হ্যান্ডেল থেকে খুলে খুব সহজেই আপনার ব্যাকপ্যাক বা আপনার পকেটে রেখে নিয়ে যেতে পারবেন। এই সাইকেলটি সম্পূর্ণরূপে ওয়াটার প্রুফ। যদি আপনার বাইসাইকেল বৃষ্টিতে ভিজেও তবুও এই লাইটের কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।
Number One: Hiplock
হিপ লক এটা নরমাল যেকোনো ধরনের বাইসাইকেল লকের থেকে অনেক বেশি স্ট্রং। এই কোম্পানি এটাই বলেছে যে গ্রাইন্ডার এর মত টুল দিয়েও এই লক ভাঙ্গা অসম্ভব। তারা শুধু এটা বলেনি বরং তারা প্রাকটিক্যাল করেও দেখিয়েছে। এই লকে ব্যবহার করা হয়েছে রি ইনফোর্স গ্রাফাইন ম্যাটেরিয়াল। যেটা বড় থেকে বড় কাটিং টেকনোলজিকে ফেইল্ড করে দিতে পারে। আপনার বাইসাইকেলের সম্পূর্ণ সুরক্ষার জন্য আপনার এই লকটি অবশ্যই সাথে রাখা উচিত।
এই সম্পূর্ণ ব্লগ টি ভিডিও আকারে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন...............!
লেখকঃ মোঃ হাসিবুল হাসান
0 মন্তব্যসমূহ