Ads

ভাইরাল! কোরিয়ার এক ছাত্র জাদুঘর থেকে ১ কোটি টাকার একটা কলা খেয়ে ফেললো, তারপর যা হলো | Apni Ki Janen Facts

 


ক কোটি টাকা খেয়ে ফেললো দক্ষিণ কোরিয়ার একজন স্টুডেন্ট শুধুমাত্র ১০ সেকেন্ডে। এখন হয়তো আপনি ভাবছেন ১০ সেকেন্ডে কিভাবে এক কোটি টাকা খেয়ে ফেলল। আসলে বাচ্চাটি জাদুকর থেকে একটা কলা খেয়ে ফেলেছিলো আর আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা জাদুঘরে রাখা সেই কলাটির মূল্য ছিল এক কোটি টাকা। মানে ভাবা যায় একটা কলার দাম শুধুমাত্র একটা কলার দাম গাছে থাকা সম্পূর্ণ কাইন জুড়ে থাকা কলা নয় শুধুমাত্র একটা কলার দাম এক কোটি টাকা। 



এখন হয়তো আপনার কাছে মনে হতে পারে আমি আপনাদের সাথে ফাপর নিচ্ছি। কেননা সাধারণত যে কাউকে যদি বলা হয় আমি শুধুমাত্র একটা কলা বিক্রি করব এক কোটি টাকা দিয়ে, এটাই স্বাভাবিক কোন সাধারণ মস্তিষ্কের মানুষ কখনোই একটা কলা এক কোটি টাকা দিয়ে কিনবে না। তাহলে এখন প্রশ্ন এই কলা এক কোটি টাকা দিয়ে কিনল কে আর কেনই বা সে এই শুধুমাত্র একটি কলা এক কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল আর কেনই বা জাদুঘরে রেখেছিল? তাহলে চলুন এখন আমি আপনাদের এই বিষয়টি ক্লিয়ার করে বোঝাই।

.



প্রথমেই আপনাদের জানিয়ে রাখি এই ঘটনাটি গতকাল থেকে নেট দুনিয়ায় প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয়েছে। আসলে  সাউথ কোরিয়ার একজন আর্টস এর ছাত্র জাদুঘরে গিয়ে দেখে একটা কলা টেপ দিয়ে দেয়ালে আটকে রাখা হয়েছে। এদিকে সেই ছাত্রটিও সকালে কিছু খেয়ে আসেনি এবং তার প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিল এমন অবস্থায় সে জাদুঘরের টেপ দিয়ে লাগানো কলাটি বের করে নিয়ে সাথে সাথে গোপাগপ খেয়ে ফেলে আর এই সম্পূর্ণ সিচুয়েশনটি তার এক বন্ধু মোবাইলে রেকর্ড করে যা পরবর্তীতে নেট দুনিয়াতে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয়ে যায়। 





যাইহোক চলুন এখন আমি আপনাদের জানাই আসলে এই কলাটির দাম এক কোটি টাকা কিভাবে হলো। আসলে টেপ দিয়ে দেয়ালে লাগানো কলাটি হচ্ছে ইটালিয়ান একজন ডিজাইনারের মর্ডান আর্ট এর প্রতীক। আর এই টেপ দিয়ে লাগানো কলা ২০১৯ সালের একটা অকশনে সাউথ কোরিয়ার এক জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এক লক্ষ বিশ হাজার ডলার দিয়ে ক্রয় করে। যেটা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় কোটি টাকার সমান। এখন হয়তো অনেকে ভাবছেন টেপ দিয়ে লাগানো এই কলা ২০১৯ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত কি অক্ষত রয়েছে। একদমই না এই কলা প্রতি তিন দিন পর পর এই দেয়ালে সংযোজন করা হয়। 





এখন আপনার মনে হতে পারে বাচ্চাটি যখন কলা খেয়ে ফেলল তখন জাদুকর কর্তৃপক্ষ কই ছিল আর বাচ্চাটাকে কি কোন জরিমানা বা শাস্তি দেওয়া হয়নি? আসলে ঘটনাটি এতটাই হটাৎ হয়েছে যে জাদুকর কর্তৃপক্ষ যখন বুঝতে পারে তখন অলরেডি বাচ্চাটির পেটে কলাটি হজম হয়ে গেছে। এখন আসি শাস্তির ব্যাপারে, আসলে বাচ্চাটিকে কোন শাস্তি দেওয়া হয়নি কেননা এই মর্ডান আর্ট এর প্রতীক যিনি ডিজাইন করেছিলেন তার কোন সমস্যা নেই যদি এই কলাটি কেউ খেয়ে ফেলে। 





যাইহোক আপনিও যদি কখনো সাউথ কোরিয়ার ওই জাদুঘরে যান তাহলে আপনিও সেখান থেকে ওই কলাটি খেতে পারেন তবে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে।



আরো পড়ুনঃ 👇








লেখকঃ মোঃ হাসিবুল হাসান 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ